
পাকিস্তানে হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা: সংসদে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
পাকিস্তানে সাম্প্রতিক হামলা ঘিরে ভারতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক ও উত্তেজনা। এমন একটি সংবেদনশীল আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। সংসদে আজ তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও বাম দলসহ একাধিক বিরোধী দল একযোগে প্রশ্ন তোলে—“প্রধানমন্ত্রী কেন এই ইস্যুতে চুপ করে রয়েছেন? পাকিস্তানে হামলার মতো একটি ঘটনা সম্পর্কে জাতিকে জানানো কি তাঁর দায়িত্ব নয়?”
বিরোধীদের দাবি, দেশের নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সামরিক কৌশলের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সংসদে এসে স্পষ্ট বক্তব্য রাখতে হবে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, “নির্বাচনী জনসভায় যখনই প্রয়োজন হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী সরব হন। কিন্তু সংসদে এসে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি আগ্রহী নন কেন?”

সরকারি পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া না আসায় জল্পনা আরও বেড়েছে। সংসদের ভেতরে ও বাইরে উভয় জায়গাতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি সংসদে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য না দেন, তাহলে বিরোধীরা একে বড় রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করতে পারে, যা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতেও পারে।
দেশজুড়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে, সরকার আদৌ এই ঘটনাকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে কি না। এখন দেখার বিষয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবে এই ইস্যুতে মুখ খুলবেন এবং বিরোধীদের প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেবেন কি না।