
ইউক্রেনের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সিভিরিদেঙ্কো
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কোর নাম সুপারিশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং প্রশাসনিক সংস্কারের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জেলেনস্কি বলেন, “দেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিজ্ঞ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব দরকার, আর ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো সেই যোগ্যতা রাখেন। তিনি শুধু একজন দক্ষ প্রশাসকই নন, বরং একজন দুর্দান্ত কৌশলী ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত মুখ।”
ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো বর্তমানে ইউক্রেনের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থনীতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তার নেতৃত্বে ইউক্রেন একাধিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চুক্তি ও সাহায্যপ্যাকেজে সই করেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করতে সহায়তা করেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মনে করেন, এই অভিজ্ঞতাই তাকে দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী পদে বসার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদে তার মনোনয়ন এখন দেশটির পার্লামেন্ট ‘ভেরখোভনা রাদা’-তে অনুমোদনের জন্য যাবে। যদি তিনি অনুমোদিত হন, তবে ইউলিয়া সিভিরিদেঙ্কো হবেন ইউক্রেনের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ইউলিয়া তিমোশেঙ্কো এই পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মনোনয়ন ইউক্রেনের প্রশাসনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে, যেখানে নারী নেতৃত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই পরিবর্তন ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যেমন প্রভাব ফেলবে, তেমনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও একটি ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দৃষ্টি এখন পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের দিকে, যেখানে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত রূপ পাবে।